ফেসবুক হ্যাক শেখার কোর্স ?

ফেসবুক হ্যাক শেখার কোর্স ?

হ্যাকিং নাম শুনলেই ফেসবুক হ্যাকিং এর কথাটা ভেসে উঠে অনেকের মনে। অনেক প্রশ্ন আর জানতে চাওয়া এই ফেসবুক হ্যাকিং নিয়ে। নিয়মিত হ্যাকিং এর কোর্স আর টেকনিক জানতে চেয়ে অসংখ্য পোস্ট ও দেওয়া হয়। তাই আজকের লেখাটি এই ফেসবুক হ্যাকিং ব্যাখ্যা করে।

লেখাটি আমি দুইভাগে লিখেছি।
১. ফেসবুক হ্যাকিং (ethical)
২. ফেসবুক একাউন্ট হ্যাকিং (unethical)

ফেসবুক হ্যাকিং

হ্যাকিং বলতে বুঝায় — কোন কম্পিউটার সিস্টেমের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলা। তো ফেসবুক হ্যাকিং বলতেও বুঝায় ফেসবুক সার্ভার বা ওয়েব এপ্লিকেশন এর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলা।
কিন্তু এই কাজটি গবেষণামূলক। আমি একটু বিস্তারিত বুঝিয়ে বলি বিষয়টা। আমার ব্যাখ্যা বুঝতে সহায়ক হবে এমন একটি ব্লগ পোস্ট এর লিংক দিলাম : Link Here
এখানে লেখক বর্ণনা করেছে — এন্ড্রয়েড এপসের কিছু দুর্বলতা থাকার কারণে ফেসবুক একাউন্টের এক্সেস নিয়ে ফেলা সম্ভব তথা হ্যাক করা সম্ভব। লেখক কিন্তু এই পোস্টে বর্ণনা করেছে সে কিভাবে পুরো গবেষণাটা করলো। এটা কিন্তু হ্যাকিং কোর্স না বা একটি সিঙ্গেল টুলস ও না যেটা ব্যবহার করলেই হ্যাক করা যায়। এইযে সে গবেষণা করলো — বিনিময়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাকে ১০ হাজার ডলার পুরস্কার দিয়েছিল এবং ওই দুর্বলতা ঠিক করে ফেলেছিল। তাই আপনি এখন একই উপায়ে হ্যাক করতে পারবেন না।

ফেসবুক নিয়মিত তাদের নিরাপত্তা জোরদার করে থাকে, আপডেট করে থাকে। সিকিউরিটি গবেষকরা সেই নতুন আপডেট হ্যাকিং এর বিভিন্ন চেষ্টা করে। গবেষণার ফলাফল পাওয়ার সুনির্দিষ্ট উপায় হয় না কোন। তাই হ্যাকিং কোর্স তৈরী করাও সম্ভব না এই বিষয়ে।

এখন আপনি যদি এই গবেষণাটাই করতে চান তাহলে?
যেই বিষয়গুলো না জানলে কিছুতেই গবেষণা করতে পারবেন না, তা হলো — কিভাবে ওয়েব/মোবাইল এপ্লিকেশন কাজ করছে, কিভাবে প্রোগ্রামিং কাজ করছে এবং হ্যাকিং এর টেকনিক। এর বাইরেও কিছু জানা লাগতে পারে। তবে নূন্যতম এসব জ্ঞান না থাকলে আপনি শুরু করতে পারবেন না।

এই ধরণের হ্যাক করাকে আমি ethical বললাম কেন?
কারণ ফেসবুক কিছু নির্দিষ্ট শর্ত মেনে এ ধরণের হ্যাকিং এর অনুমতি দিয়েই রেখেছে আমাদের। যে কেউ চাইলেই এই কাজ করতে পারবে। ফেসবুকের অফিসিয়াল অনুমতির লিংক: https://www.facebook.com/whitehat

ফেসবুক একাউন্ট হ্যাকিং

গড়পড়তা ফেসবুক হ্যাকিং নাম করে যেটা বোঝান হয়, সেটা এই একাউন্টের এক্সেস নিয়ে ফেলাকে। হ্যাকাররা এখানে হয় ফেসবুকের কোন দুর্বলতা ব্যবহার করে (উপরে যেটা বোঝালাম) নাহয় ব্যবহারকারীকে বোকা বানায়। এই কাজে ফেসবুকের সার্ভার বা এপ্লিকেশনের কোন ক্ষতি হয় না। কিন্তু ফেসবুক একাউন্ট যেটা, সেটা বেহাত হয়ে যায় বা হ্যাকার পাসওয়ার্ড জেনে যায়। এটা শুধুই user লেভেলের attack.
এই কাজ গুলো সাধারণত মানুষকে বোকা বানিয়ে করা হয়। তাই আমরা কখনোই

- অপরিচিত কাউকে ফেসবুকে এড দেব না
- দীর্ঘ/হিজিবিজি বা লোভনীয় কোন লিংকে ক্লিক করবো না
- কখনোই crack সফটওয়্যার বা এপ্স ব্যবহার করবো না

কারণ এগুলোর মাধ্যমের হ্যাকার আপনার ফেসবুক একাউন্টের এক্সেস নেয়ার চেষ্টা করে থাকে।

একাউন্টের এক্সেস নেয়া unethical কেন?
একটি একাউন্ট সেই ব্যক্তির ডিজিটাল সম্পদ বা asset. কারও ব্যক্তিগত সম্পদে প্রবেশের অধিকার অন্য কারও নেই। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ও এধরণের কাজকে সমর্থন করে না। উপরন্তু বাংলাদেশের আইনে এটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নিচের ছবিতে দেখুন কি কি শাস্তি হবে:

ফেসবুক হ্যাকিং নিয়ে কিছু মানুষ আপনাকে বোকা বানাবে, ভুয়া কোর্স বিক্রি করে টাকা হাতাবে আপনার।
আমাদের ভুল ধারণার অবসান হোক। নিজে সচেতন হন, লেখাটি শেয়ার করে অন্যকে সচেতন করুন ❤